শিরোনাম
Passenger Voice | ১০:৪৫ এএম, ২০২৩-১০-১৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বাস টার্মিনাল ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১১ অক্টোবর শুরু হয়েছে যানবাহন চালকদের চোখ ও রক্তচাপ পরীক্ষা। সংস্থাটির তথ্য বলছে, এ সময় ২৮৯ পেশাদার চালকের চোখ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় গুরুতর সমস্যা পাওয়া যায় ১৬৪ চালকের। অন্যান্য চোখের সমস্যা পাওয়া যায় আরো ৫৯ চালকের। আর চোখের কন্ট্রাক্ট সমস্যা পাওয়া যায় আটজনের। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, ২৪৯ চালকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৪৭ জনের রক্তচাপ সমস্যা ও ৬৯ জনের ডায়াবেটিসের সমস্যা পাওয়া যায়। এর বাইরে ধূমপানজনিত বিভিন্ন সমস্যা পাওয়া যায় ১০৯ পেশাদার চালকের।
২২ অক্টোবর পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তায় বড় সংকট মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি। দেশে বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি। যদিও এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রাস্তায় চলে না। ফিটনেসবিহীন গাড়িও আছে। অনেক সময় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ধরে ডাম্পিংয়ে দিচ্ছি। তার পরও সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করছে। এসব যানবাহনের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ১২-১৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে। এমনকি আমরাও নিরাপদ নই। আমাদের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ও তা করতে হলে আমাদের সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। পরিবহন মালিক থেকে শ্রমিক ও সড়ক ব্যবহারকারী সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। তা না হলে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
নুর মোহাম্মদ মজুমদার আরো বলেন, ‘শুধু ঢাকা শহরে ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হলে ১০০ ম্যাজিস্ট্রেটের প্রয়োজন। তবে আমাদের মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তাই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.